সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এখনও বিত্তহীন/ভূমিহীন। ক্ষুদ্র ও প্রামিত্মক চাষীদের অধিকাংশই তাদের শেষ সম্বল বিক্রি করে পরিণত হচ্ছে ভূমিহীন ও দিনমজুরে। গ্রামীণ মহিলাদের একটি উলেস্নখযোগ্য অংশ এখনও নিগৃহীত, সুবিধাবঞ্চিত এবং জীবিকার ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীল। কৃষি-অকৃষিজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে তাদের আয় ও স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে পশ্চাদপদ এ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার মান ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের ব্যাপক দরিদ্র জনগোষ্ঠী অসংগঠিত এবং বিচ্ছিন্ন। সংগঠিত সামাজিক শক্তি হিসাবে তাদের অবস্থান এখনও উলেস্নখ করার মত নয়। সংগঠিত হওয়ার মত উপযোগী সংগঠনের অভাব, আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দক্ষতা, মূলধন এবং সর্বোপরি সামাজিক সচেতনতার অভাবই গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পশ্চাদপদতার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের বার্ষিক, পঞ্চবার্ষিক এমনকি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়ও দারিদ্র বিমোচনের উপর সর্বাধিক গুরম্নত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দারিদ্র বিমোচনের গুরম্নত্ব ও দারিদ্র বিমোচনে সরকারী নীতিমালা এবং বাসত্মবায়ন কৌশল প্রভৃতি সমন্বয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘‘পলস্নী দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র’’(পিআরএসপি)।
সরকারের উন্নয়ন কৌশল (Development strategy) এবং বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক বাসত্মবতার নিরিখে দারিদ্র বিমোচনের প্রচেষ্টা হিসেবে ১লা জুলাই ১৯৯৩ থেকে বিআরডিবি’র ‘‘পলস্নী দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী’’(পদাবিক) শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পটি দেশের ১৪৫ উপজেলায় বাসত্মবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রকল্পটি একক সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত দেশের অন্যতম বৃহৎ দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প এবং জাতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ বৎসর মেয়াদের (জুলাই’১৯৯৩- জুন’১৯৯৮) জন্য গ্রহণ এবং ২৩টি জেলার ১৪৫ উপজেলায় বাসত্মবায়ন করা হয়। ৩০শে জুন ১৯৯৮ তারিখে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের বাসত্মবায়ন সমাপ্ত হয়।
সরকারী সিদ্ধামত্ম অনুযায়ী আইএমইডি’র মাধ্যমে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কর্মকান্ড মূল্যায়ন করা হয়। এপ্রিল’৯৮’ এ পেশকৃত আইএমইডি’র বিশেষ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রকল্প কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা এবং সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস