ক্রঃ নং |
উপজেলার নাম |
মনোনীত ব্যক্তির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা |
বিবেচ্য বিষয় (অর্জন) |
০১ |
হোমনা |
মোসা: সুখী আক্তার স্বামী : জয়নাল মিয়া মাতা : মোসা. মাজেদা গ্রাম : পূর্ব কাশিপুর ডাকঘর : জয়পুর উপজেলা : হোমনা জেলা : কুমিল্লা |
1996 সালে 33জন মহিলা সদস্য নিয়ে সমিতিটি গঠিত হয়। হোমনা ইউসিসিএলি.-এর তৎকালীন পরিদর্শক মো. জহিরুল হক-এর কাছে আত্ম-কর্মসংস্থানসৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিআরডিবি’র অনন্য অবদানের কথা জানতে পেরে মোসাঃ সুখী আক্তার 25 ডিসেম্বর 2003খ্রি. পূর্ব কাশিপুর মহিলা বিত্তহীন সমবায় সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন। যার সভ্যনং 24। সমিতির বেশির ভাগ সদস্যই আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল মোসাঃসুখী আক্তার ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। মোসাঃ সুখী আক্তারের স্বামী হোমনা উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে বাঁশের তৈরি সিলিং বানানোর কাজ করেন। পুঁজি কম হওয়ায় ব্যবসায় তেমন ভাল করতে পারেনি মোসাঃসুখী আক্তারের স্বামী। খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করছিলেন সুখী আক্তারের পরিবার। সংসারের অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে মোসাঃসুখী আক্তার নিজেই কিছু করার চিন্তা করেন। তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে ঘরের বাঁশের তৈরি ঘরের সিলিং বানানোর কাজ শিখেন। স্বামীর ব্যবসার পুঁজি বাড়ানোর জন্য তৎকালীন পরিদর্শক মো. জহিরুল হকের সাথে পরামর্শ করে বিআরডিবি থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি 2005 সালে 10,000/- (দশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। উক্ত টাকা দিয়ে তিনি দুই ধরনের মুলি বাঁশ কিনেন। মুলিবাঁশ দিয়ে তিনি আর স্বামী মিলে বাঁশ দিয়ে ঘরের সিলিং বানানোর কাজ আরম্ভ করেন। তিনি গ্রহণকৃত 10,000/-টাকা মাসিক কিস্তিতে যথাসময়ে পরিশোধ করে পরবর্তিতে পুনরায় 15,000/-(পনেরো হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন, ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। এভাবে তিনি আরো 12(বারো) মেয়াদে ঋণ গ্রহণ করে বাঁশের সিলিং ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হন। সর্বশেষ 06 জুলাই ২০২2খ্রি.তারিখে পূর্ব কাশিপুর মহিলা বিত্তহীন সমবায় সমিতি লি.-এর 36 জন সদস্য 10,30,000/- (দশ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। উক্ত সমিতির সদস্য মোসাঃসুখী আক্তারও 50,000/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। গ্রহণকৃত ঋণ এবং সিলিং বানানোর অর্জিত লভ্যাংশ দিয়ে পুঁজি গঠন করে তিনি হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে বড় পরিসরে একটি সিলিং তৈরির দোকান দিয়েছেন। এ ব্যবসায় তিনি ধীরে ধীরে উন্নতি করেছেন। উত্তরোত্তর তার ব্যবসা লাভ জনক হওয়ায় তার পুঁজি বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার ব্যবসার পুঁজি প্রায় 12,00,000/- (বারো লক্ষ) টাকা। তার পরিবারের দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি তিনি বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার ব্যবসায় বর্তমানে 05জন কর্মচারী নিয়োজিত আছে। কর্মচারীদের মাসিক বেতন জন প্রতি সর্বনিম্ন 8,000/- ( আট হাজার) টাকা থেকে সর্বোচ্চ 15,000/- (পনেরো হাজার) টাকা । মোসাঃসুখী আক্তার এখন প্রতি মাসে 10-15টি ঘরের সিলিং বিক্রি করতে পারেন। সিলিং’র সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তিনি মাসে ১,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আয় করেন। তিনি পারিবারিক জীবনে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম হয়েছে এবং তার সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোসাঃ সুখী আক্তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করছেন। তার চার ছেলে মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে ও এক ছেলে লেখা পড়া করছেন। তিনি পারিবারিক জীবনে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত প্রদান করেন। তিনি প্রতি মাসে কিছু কিছু সঞ্চয় জমা করে 24,500/-(চব্বিশ হাজার পাঁচশত ) টাকা পুঁজি গঠন করেছেন। সমিতির অন্যান্য সদস্যদের পুঁজি গঠনে উদ্বুদ্ধু করে সমিতির শেয়ার-সঞ্চয়ের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি করছেন। বর্তমানে সমিতির শেয়ার-সঞ্চয়ের পরিমাণ যথাক্রমে 2,08,000/- ও 2,20,210/-। পারিবারিক জীবনে তিনি একজন সফল গৃহিণী।
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস